রাজাপুর প্রতিনিধিঃ- পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কথিত কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আ. সোবাহান হাওলাদারের পুত্র কিশোর গ্যাং নেতৃত্বদানকারী তৌহিদুল ইসলাম চান কিশোর দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
রবিবার রাত ৮টার দিকে মধ্য নারিকেল বাড়িয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এতে ওই গ্রামের মোতাহার হাওলাদারেরর পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জাকির গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আহত জাকির রাজাপুর উপজেলার নুরুন্নাহার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত।
আহত মোস্তাফিজুর রহমান জাকির জানান, সন্ধ্যার পরে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে তৌহিদুল ইসলাম চান কিশোর গ্যাং নিয়ে পথরোধ করে। পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে লাঠি ও হাতুরি নিয়ে মারধর শুরু করে চান, ফারুক, তুহিন, রাকিব, মোস্তাফিজ, খলিলুর রহমানসহ আরো কয়েকজন। পেটে পিস্তল ঠেকানোর ফলে কোন ডাকচিৎকারও দিতে পারিনি। মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ইতি মধ্যে কোথা থেকে যেন একটা লাইটের আলো আসে তখন মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে থানায় নেয়। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও ওই কিশোরগ্যাং নারিকেল বাড়িয়া (ক্লাব) বাজারের ক্ষুদ্রব্যবসায়ী জাকির হোসেন হাওলাদারকেও চাঁদার দাবিতে অগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জানার জন্য তৌহিদুল ইসলাম চান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, বিষয়টি আমাদের নলেজে আসছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।